ইংরাজির ২০১৪ , মাসটা নভেম্বর । ফেসবুকের সার্চবারে নামটা সার্চ করতেই লিস্ট এ একটা অস্পষ্ট ছবি দেখল অংশু। একটু উৎসাহিত হয়ে নামের ওপর ক্লিক করে প্রফাইলে লাগানো ছবি, গোদা ইংরাজিতে যাকে আমরা ডিপি বলে জানি সেটা দেখে মনে মনে বেস একটু খুশিই হল। এই ছবিটাই অনেকদিন ধরে খুজছিল অংশু। ছবিটা দেখে অনেক কথা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল তার ।
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টটা পাঠিয়ে মেসেজ
করল “কিরে চূড়া কেমন আছিস ? চিন্তে পারছিস আমায় ?
মেসেজ সেন্ট হতেই এক অজানা আবেগে ভর করে জানলা দিয়ে দৃষ্টি বার
করে সামনের নাড়কেল গাছটার মাথা নাড়ানো দেখতে থাকল , সেও যেন তার আনন্দে
খুব খুশি।
চূড়া , ভালোনাম তিয়াস রায় । অংশুর
প্রাইভেট টিউশন শুরু হয় সে যখন ক্লাস ১০ –এ । একজন খুব ভাল অঙ্কের টিচার ছিল অংশুর স্কুলেই । অংশু
তাঁর কাছেই ভর্তি হয়েছিল অঙ্কের জন্য ।
সময় গড়িয়ে বছর পেরল । অঙ্কে
লেটার মার্কস নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করল অংশু আর ১০ এর শূণ্য টা এক হয়ে এগিয়ে গেল আরও একটা
ক্লাস ।
ক্লাস
১১ এ আবার শুরু হল অঙ্কের ক্লাস । আরও কিছু
ছাত্রের সাথে কিছু ছাত্রিও ভর্তি হল । তাদের
মধ্যেই একজন ছিল এই তিয়াস । তিয়াস ছিল স্যারের পাড়ার এবং স্যারের সামনেই ছিল ওর বাড়ি । পড়াশোনায়
ছিল যেমন ভাল তেমনি সৌন্দর্য ছিল দৃষ্টি আকর্ষন করার মত । স্বভাব , আচার , আচরন সবমিলিয়ে মেয়েটি ছিল এমন , প্রত্যেক বাবা-মা এরকম সন্তান ই যেন পায় এই প্রার্থনাই
ভগবানের কাছে করে ।
টিউশন থাকত বিকেল বেলা সপ্তাহে দুই দিন । যে কয়জন
ছাত্র ছিল তারা এক্টু আগে আসত দূরে বাড়ি বলে । আর তিয়াস
আসত পড়া শুরু হওয়ার কিচ্ছুক্ষন আগে । কারোর সাথে বিসেষ কথা বলতনা দরকার ছাড়া । এক কাঁধে
ব্যাগ ঝুলিয়ে একদম পরিপাটি হয়ে আসত পড়তে । অংশুরা
স্যারের বাড়ির বাইরে গল্প-গুজব করত , তাদের পাস দিয়ে সোজা চলে যেত বাড়ির
ভেতরে আর ও যখন আসত কোন এক জানা অজানা কারনে সবাই চুপ হয়ে যেত এবং ভাল ছেলের মত টুক টুক করে ভিতরে গিয়ে বসত । স্যার
কিছুক্ষন পরেই আসতেন এবং শুরু হত অঙ্ক কষা ।
এরকম ভাবেই চলতে থাকল দিনগুলো । সাথে সাথে অংশুর ইচ্ছের
ব্যপ্তিও বাড়তে থাকল । বাইরে গুরুত্ব না দিলেও ভেতরে ভেতরে অংশুর মনে অন্যরকম কিছু
অনুভুতির বিকাশ ঘটছিল কিন্তু সেটা আবিষ্কার করার চেতনা তার ছিলনা । এই অনুভূতি ছিল
কিছুটা অন্যরকম । তিয়াসের সাথে কথা বলার ইচ্ছেটা খাঁচা ভাঙতে চাইলেও মেয়েদের সাথে
কথা বলার সাহস খাঁচার গড়াদ্গুলো আরও শক্ত করে দিত ।
আবার বছর পেরল , ক্লাস ১১ ১২ তে পৌছাল এবং স্কুলের গন্ডির শেষ
রেখাটুকু মিলিয়ে গেল আর অংশু এই বলতে চাওয়া না বলা ইচ্ছেগুলোকে যত্ন করে তুলে রাখল
স্মৃতির আলমারিতে । আবার দেখা হবে এই আশা সূপ্ত হয়ে পরে রইল মনের এক কোণে ।
COPYRIGHT© : This story is
written by Nilangshu Chatterjee and it’s his property . Copying this or doing
anything without permission of Nilangshu Chatterjee will be treated as
violation and Nilangshu Chatterjee has all rights to take legal step . ** All the characters , names , places , dates , situations , incidents etc are imaginary .
শুরুটা বেশ ভালোই লাগলো!
ReplyDeleteseiiii
ReplyDeleteKhub bhalo hoeche.
ReplyDeleteKhub bhalo hoeche.
ReplyDeletevai chorom laglo....chalia ja....aro chai....
ReplyDeletenice one...keep it up..
ReplyDelete